পিঁয়াজ চাষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

পেঁয়াজ চাষের ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এই সময়ে গাছের পুষ্টি সরবরাহ ও রোগবালাই প্রতিরোধ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ধাপে ধাপে করণীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো:

Feb 22, 2025 - 13:03
 0  7
পিঁয়াজ চাষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

১. সার প্রয়োগ:

এই সময়ে পেঁয়াজের জন্য সুষম সার প্রয়োজন।

ইউরিয়া: ৮ থেকে ১০ কেজি প্রতি বিঘায় (প্রথম কিস্তি দিলে দ্বিতীয় কিস্তি এখন দিতে হবে)।

পটাশ: ৫ থেকে ৬ কেজি প্রতি বিঘায়।

জিপসাম (গন্ধক): ৪ কেজি প্রতি বিঘায় (পেঁয়াজের মূল বৃদ্ধিতে সহায়ক)।

জিঙ্ক: সামান্য পরিমাণে দিতে পারেন, যা মূল ও পাতা সুস্থ রাখে।

সার দেওয়ার পদ্ধতি:

সারগুলো মাটি খুঁচিয়ে গাছের গোড়া থেকে ২-৩ ইঞ্চি দূরে দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন।

---

২. সেচ (পানি) ব্যবস্থাপনা:

পেঁয়াজের জন্য মাঝারি আর্দ্রতা প্রয়োজন।

মাটি শুকিয়ে গেলে হালকা সেচ দিন।

অতিরিক্ত পানি যেন না জমে সেদিকে খেয়াল রাখুন, কারণ বেশি পানি মূল পচিয়ে দিতে পারে।

---

৩. পোকামাকড় ও রোগবালাই প্রতিরোধ:

সাধারণ সমস্যাগুলো:

থ্রিপস (Thrips): পাতায় সাদা দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে যায়।

প্রতিকার: ইমিডাক্লোপ্রিড বা অ্যাসিটামিপ্রিড (প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি) স্প্রে করুন।

গোলা পচা রোগ (Bulb Rot): মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকলে হয়।

প্রতিকার: মাটি শুকনো রাখুন এবং ট্রাইকোডার্মা ব্যবহার করুন।

পাতার দাগ রোগ (Purple Blotch): পাতা বেগুনি রঙের দাগ পড়ে।

প্রতিকার: ডাইথেন এম-৪৫ বা ম্যানকোজেব (২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে) স্প্রে করুন।

---

৪. ফলন বৃদ্ধির জন্য টনিক:

প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম বোরন (Borax) এবং ১ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট মিশিয়ে স্প্রে করুন।

এতে পেঁয়াজের কন্দ বড় হবে এবং ফলন বৃদ্ধি পাবে।

---

৫. আগাছা নিয়ন্ত্রণ:

আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। আগাছা গাছের পুষ্টি গ্রহণে বাধা দেয় এবং রোগ ছড়াতে সাহায্য করে।

---

আপনি যদি পেঁয়াজের পরবর্তী ধাপ বা কোন নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান চান, জানাতে পারেন। আশা করি এটি আপনার পেঁয়াজের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow