পিঁয়াজ চাষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
পেঁয়াজ চাষের ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এই সময়ে গাছের পুষ্টি সরবরাহ ও রোগবালাই প্রতিরোধ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ধাপে ধাপে করণীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো:

১. সার প্রয়োগ:
এই সময়ে পেঁয়াজের জন্য সুষম সার প্রয়োজন।
ইউরিয়া: ৮ থেকে ১০ কেজি প্রতি বিঘায় (প্রথম কিস্তি দিলে দ্বিতীয় কিস্তি এখন দিতে হবে)।
পটাশ: ৫ থেকে ৬ কেজি প্রতি বিঘায়।
জিপসাম (গন্ধক): ৪ কেজি প্রতি বিঘায় (পেঁয়াজের মূল বৃদ্ধিতে সহায়ক)।
জিঙ্ক: সামান্য পরিমাণে দিতে পারেন, যা মূল ও পাতা সুস্থ রাখে।
সার দেওয়ার পদ্ধতি:
সারগুলো মাটি খুঁচিয়ে গাছের গোড়া থেকে ২-৩ ইঞ্চি দূরে দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন।
---
২. সেচ (পানি) ব্যবস্থাপনা:
পেঁয়াজের জন্য মাঝারি আর্দ্রতা প্রয়োজন।
মাটি শুকিয়ে গেলে হালকা সেচ দিন।
অতিরিক্ত পানি যেন না জমে সেদিকে খেয়াল রাখুন, কারণ বেশি পানি মূল পচিয়ে দিতে পারে।
---
৩. পোকামাকড় ও রোগবালাই প্রতিরোধ:
সাধারণ সমস্যাগুলো:
থ্রিপস (Thrips): পাতায় সাদা দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে যায়।
প্রতিকার: ইমিডাক্লোপ্রিড বা অ্যাসিটামিপ্রিড (প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি) স্প্রে করুন।
গোলা পচা রোগ (Bulb Rot): মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকলে হয়।
প্রতিকার: মাটি শুকনো রাখুন এবং ট্রাইকোডার্মা ব্যবহার করুন।
পাতার দাগ রোগ (Purple Blotch): পাতা বেগুনি রঙের দাগ পড়ে।
প্রতিকার: ডাইথেন এম-৪৫ বা ম্যানকোজেব (২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে) স্প্রে করুন।
---
৪. ফলন বৃদ্ধির জন্য টনিক:
প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম বোরন (Borax) এবং ১ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট মিশিয়ে স্প্রে করুন।
এতে পেঁয়াজের কন্দ বড় হবে এবং ফলন বৃদ্ধি পাবে।
---
৫. আগাছা নিয়ন্ত্রণ:
আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। আগাছা গাছের পুষ্টি গ্রহণে বাধা দেয় এবং রোগ ছড়াতে সাহায্য করে।
---
আপনি যদি পেঁয়াজের পরবর্তী ধাপ বা কোন নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান চান, জানাতে পারেন। আশা করি এটি আপনার পেঁয়াজের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
What's Your Reaction?






