ধানের ক্ষতিকর গলমাছি দমন পদ্ধতি
ধানের ক্ষতিকর গলমাছি বা নলিমাছি (Rice Gall Midge) দমন কৌশল বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এই পোস্টে। নিজে জানুন এবং আপনার পরিচিত অন্যান্য কৃষকদের সতর্ক করুন।

✅ নলি মাছি পোকার পরিচিতিঃ
১. পূর্ণবয়ষ্ক গলমাছি দেখতে একটা মশার মত।
স্ত্রী গলমাছির পেটটা উজ্জ্বল লাল রঙের হয়।
২. এরা রাতে আলোতে আসে, কিন্তু দিনের বেলায়
বের হয় না।
✅ কোথায় ডিম পারে:
স্ত্রী গলমাছি সাধারণত পাতার নিচের পাশে
ডিম পাড়ে। তবে মাঝে-মাঝে পাতার খোলের
উপরও ডিম পাড়ে।
✅ ধানের উপরে গলমাছির জীবনচক্র:
এদের জীবনচক্র সম্পূর্ণ হতে ৯ থেকে ২৪ দিন
সময় লাগে। এরা ডিপটেরা বর্গের অন্তর্ভুক্ত।
✅ কখন আক্রমণ করে থাকে:
ধানের চারা অবস্থা থেকে আক্রমণ
শুরু হয়ে
কাইচ থোড় অবস্থা আসা পর্যন্ত সময়ে এ
পোকার আক্রমণে সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
✅ গল মাছির ক্ষতির ধরণঃ
১. এ পোকার আক্রমণের ফলে ধান গাছের
মাঝখানের পাতাটা পিঁয়াজ পাতার মত
নলাকার হয়ে যায়। এ জন্য এ পোকার ক্ষতির
নমুনাকে “#পিঁয়াজ_পাতার_গল” বলা হয়ে থাকে।
২. এ গলের বা নলের প্রথামাবস্থায় রঙ হালকা
উজ্জ্বল সাদা বলে একে “#সিলভার_শুট বা
"রুপালী পাতা” বলা হয়।
৩. গল হলে সে গাছে আর শীষ বের হয় না। তবে
গাছে কাইচ থোড় এসে গেলে গলমাছি আর
গল সৃষ্টি করতে পারে না।
✅ গল মাছির ক্ষতির ব্যপ্তিঃ
১. গলমাছি বা নলিমাছি এর আক্রমনে সাধারণত
ধানের ফলন শতকরা প্রায় ৩০ – ৪০ ভাগ কমে
যেতে পারে।
✅ জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে গল মাছি দমনঃ
১. আলোর ফাঁদের সাহায্যে পূর্ণবয়স্ক গলমাছি
ধরে ধ্বংস করা।
⚠️ শতকরা ৫ ভাগ পিঁয়াজ পাতার মত গল হয়ে গেলে রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে।
✅ রাসায়নিক পদ্ধতিতে গলমাছি/নলি মাছি দমনে নিচের যে কোন একটি কীটনাশক অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করুন।
১. রাজধান ১০ জি বিঘা প্রতি ২.২৪ কেজি
ব্যবহার করে গলমাছি দমন করা হয়।
২. এছাড়াও তাসলা বা থায়োসাইড বা গিলকুইন
বা কুইনালফস জাতীয় কীটনাশক ব্যবহার
করেও এই পোকা দমন করতে পারেন।
ব্যবহার করেও এই পোকা দমন করা যায।
What's Your Reaction?






