আদা চাষ পদ্ধতি
আদা চাষ পদ্ধতি

এখনই সময় আদা চাষের। আদা চাষ পদ্ধতি (A to Z)।
✅টবে/বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি:-
????মসলাপাতির মাঝে আদার দামটা একটু চড়াই বটে। তবে দামের চাইতেও জরুরী কীটনাশকমুক্ত, সতেজ আদা পাওয়া। হরেক রকম মরিচ থেকে শুরু করে ক্যাপসিকাম, আজকাল অনেকেই এসব লাগান নিজের বারান্দায়। কিন্তু কখনো আদা চাষের কথা ভেবেছেন কি? কোন ধরণের পরিশ্রম ছাড়াই নিজের বারান্দা, ছাদ, রান্নাঘর, এমনকি জানালার ধারেও চাষ করতে পারবেন আদা। চলুন জেনে নিই আদা চাষ পদ্ধতি।
????ধাপ-১
আদা থেকে গাছ গজাতে হবে প্রথমে। এই কাজটি করার জন্য আদাকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। কিছুদিন পর দেখতে পাবেন যে আলুতে যেমন গাছ বা “চোখ” গজায়, তেমনই গাছ গজিয়েছে। প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে পানি ও পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেটের (ফার্মেসিতে কিনতে পারবেন) পাতলা দ্রবনে আদাকে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ফ্রিজে রাখুন।
????ধাপ-২
গাছ গজিয়ে গেলে আদাকে টুকরো করে নিন। প্রত্যেক টুকরোয় কমপক্ষে একটি গাছ যেন থাকে, সেটি খেয়াল রাখবেন।
????ধাপ- ৩
এবার লম্বাটে টবে বা পাত্রে আদা রোপন করুন। পানি বা তেলের ৩-৫ লিটারের বোতলগুলো বেশ ভালো কাজে আসবে। সমান সমান পরিমাণ মাটি ও জৈব সারের সাথে অর্ধেক পরিমাণ বালু মিশিয়ে আদার জন্য মাটি তৈরি করুন। কিংবা আপনার ঘরে ভালো মাটি থাকলে সেটাটেই সার মিশিয়ে রোপন করুন। একটি পাত্রে একাধিক আদার টুকরো রোপণ করুন। পাতলা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিন। গাছ মাটির ওপরে বেরিয়ে আসলে প্লাস্টিক সরিয়ে দেবেন।
????ধাপ-৪
নিয়মিত পানি দেবেন, তবে খুব বেশী নয়। ২/৩ দিন পরপর। বেশী পানি দিলে আদা পচে যাবে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাসে রাখুন।
????ধাপ-৫
আদা রোপণের জন্য ভালো সময় ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত। রোপণের ২/৩ মাসের মাঝেই গাছ গজাবে। ভালো অবস্থায় গাছ ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। হেমন্তে গাছ যখন শুকিয়ে যাবে, তখন মূল টেনে তুলে নিন। এই মূলটিই হচ্ছে আদা। গাছটা মোটামুটি বেড়ে উঠলেই বুঝবেন যে আদা তোলা যায়। আদা ম্যাচিউর হয়ে গেলে আপনি গাছ টেনে তুলে প্রয়োজনমত খানিকটা আদা নিয়ে আবার লাগিয়ে রাখতে পারেন। যতদিন গাছ মরে না যাচ্ছে, আদা বড় হবে। পরিষ্কার করে সংরক্ষন করুন। বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। গুঁড়ো করে রাখলে সারা বছর থাকবে।মসলাপাতির মাঝে আদার দামটা একটু চড়াই বটে। তবে দামের চাইতেও জরুরী কীটনাশকমুক্ত, সতেজ আদা পাওয়া। হরেক রকম মরিচ থেকে শুরু করে ক্যাপসিকাম, আজকাল অনেকেই এসব লাগান নিজের বারান্দায়। কিন্তু কখনো আদা চাষের কথা ভেবেছেন কি? কোন ধরণের পরিশ্রম ছাড়াই নিজের বারান্দা, ছাদ, রান্নাঘর, এমনকি জানালার ধারেও চাষ করতে পারবেন আদা।
???? ????চলুন জেনে নিই আদা চাষ পদ্ধতি।
১.মিশ্রণ
প্রথমে একটি বস্তায় ৩ ঝুড়ি মাটি, ১ ঝুড়ি বালি, ১ ঝুড়ি গোবর সার ও দানাদার কীটনাশক ফুরাডান ৫জি ২৫ গ্রাম নিতে হবে। মাটির সঙ্গে গোবর, বালি ও ফুরাডান ভালোভাবে মিশিয়ে সিনথেটিক বস্তায় ভরে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। সম্ভব হলে ১ চা চামচ পটাশ সার মিশিয়ে নেয়া যেতে পারে।
২.চারা তৈরি
এবার একটি বালিভর্তি টবে তিন টুকরো অঙ্কুরিত আদা পুঁতে দিতে হবে। আদার কন্দ লাগানোর আগে ছত্রাকনাশক অটোস্টিন ২ গ্রাম বা লিটার পানিতে দিয়ে শোধন করে নিতে হবে। অন্য ছত্রাকনাশকও ব্যবহার করা যাবে। যা হোক, শোধনের পর কন্দগুলো আধাঘণ্টা ছায়ায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে।
১. চারা রোপণ
২০ থেকে ২৫ দিন পর বপনকৃত আদা থেকে গাছ বের হবে। তখন আদার চারা সাবধানে তুলে বস্তার মুখে ৩ জায়গায় বসিয়ে দিতে হবে। দিনের বেশিরভাগ সময় রোদ পায় এমন স্থানে বস্তাটি রাখতে হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আদা গাছ বড় হতে থাকবে।
৪. সার প্রয়োগ
চারা লাগানোর দু’মাস পরে ৪ চা চামচ সরিষার খোল ও আধা চামচ ইউরিয়া মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। বস্তার মাটি মাঝে মাঝে খুঁড়ে একটু আলগা করে দিতে হবে।
৫. উত্তোলন
জুন-জুলাই মাসে আদা লাগালে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে তোলা যায়। এছাড়া অন্য সময়ও আদা চাষ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে একেকটি বস্তায় তিনটি গাছ থেকে এক-দেড় কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যায়।
@pavelseedstore
What's Your Reaction?






