জিংক এর ব্যবহার
জিংক এর উপকার ও ব্যবহার বিধি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

১. পাতায় মরিচা পড়ার মতো ছোট ছোট দাগ দেখা যায় এবং বাদামী/তামাটে রং ধারণ করে।
২. পাতার আকার ছোট হয়, কোন কোন পাতার কিনারা কুঁচকে যায়।
৩. ফসলের বৃদ্ধি কম হয় এবং ফসল দেরিতে পরিপা হয়।
৪. ধানের কুশি কম হয় এবং ফলন হ্রাস পায়।
৫. যে সকল জমি সারা বছর ভেজা থাকে সে সকল জমির মাটিতে জিংক এর অভাব দেখা যায়।
৬. সালফারের অভাবে গাছের পাতা হলদে হয়ে যায় এবং পাতা, কান্ড এবং শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়।
মনো জিংক এর উপকারীতাঃ
১. ধানের কুশির সংখ্যা বৃদ্ধি করে, ধান পুষ্ট করে।
২. শিকড়ের বিস্তার ঘটিয়ে অধিক পরিমাণে খাদ্য উপাদান গ্রহণে সহায়তা করে।
৩. গাছ সহজে শোষিত খাদ্য হজম করতে পারে ফলে, নতুন কুশি ও ডাল-পালা গজায়, পাতা সবুজ ও সতেজ করে।
৪. দানা জাতীয় ফসলের দানা পুষ্ট করে।
৫. ফসলের ফুল, ফল ও বীজের আকৃতি গঠনে সহায়তা করে।
৬. সর্বোপরি ফসলের বৃদ্ধি ও উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।
৭. প্রয়োগ মাত্রাঃ একর প্রতি ৩ কেজি। তবে জমিতে জিংক ও সালফারের অভাবের মাত্রা ভেদে
৮. জিংক সালফেট-এর মাত্রা ভেদে কমবেশি করা যেতে পারে।
প্রয়োগ পদ্ধতিঃ জমি তৈরির শেষ চাষে ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে
দিতে হবে অথবা ফসল লাগানোর ২-৩ সপ্তাহ পর ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
স্প্রে প্রয়োগঃ ১ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম জিংক সালফেট ভালোভাবে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করতে হবে।
What's Your Reaction?






